দেশ ব্যাপি উপজেলা প্রতিনিধি,জেলা প্রতিনিধি ও ব্যুরো প্রধান নিয়োগ দিচ্ছে 'জনসংবাদ২৪'


দেশ ব্যাপি উপজেলা প্রতিনিধি,জেলা প্রতিনিধি ও ব্যুরো প্রধান নিয়োগ দিচ্ছে 'জনসংবাদ২৪'

পটুয়াখালীর বাউফলে ইনডেক্স জালিয়াতি করে কলেজ শিক্ষকের পদন্নোতি 

নিজস্ব প্রতিবেদক: পটুয়াখালীর বাউফলে এক কলেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করে প্রভাষক পদে নিয়োগ, জালিয়াতি করে টাইম স্কেল সুবিধা নেওয়া ও ইনডেক্স জালিয়াতি করে প্রভাষক পদ থেকে সহাকরী অধ্যাপক পদোন্নতি নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম মো. সহিদুল ইসলাম। তিনি উপজেলার কালিশুরী ডিগ্রি কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক পদে আছেন।

অভিযোগ রয়েছে, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দলীয় ক্ষমতার প্রভাব ঘাটিয়ে অবলীলায় পদে পদে অনিয়ম দুর্নীতি করেছেন ওই শিক্ষক। তার ক্ষমতার দাপটে কলেজের অন্য শিক্ষকরা নতজানু হয়ে থাকতেন। ভয়ে কেউ প্রতিবাদও করেনি। তবে ক্ষমতার পালাবদলের পর তার সব অপর্কমে বেড়িয়ে আসছে। সম্প্রতি মাধ্যমিক ও উ”চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছেও লিখিত অভিযোগও দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগ ও কলেজ সূত্রে  জানা যায়, ১৯৯৮ সালে বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় খোদাকসকাঠী নেছারিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় প্রভাষক পদে নিয়োগ নিয়ে এমপিওভুক্ত হন মো.সহিদুল ইসলাম। তার ইনডেক্স নম্বর ৩৭২৯২৪। পরে  ১৯৯৯ সালের মে মাসে  পূর্বের কোনো অভিজ্ঞতা ও ইনডেক্স গোপন করে কালিশুরী ডিগ্রি কলেজে  প্রভাষক পদে নিয়োগ নেন তিনি। যার ইনডেক্স নম্বর  ৪৩০৭৭১।

পরে ২০১২ সালে  ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব ঘাটিয়ে কলেজের অধ্যক্ষকে ম্যানেজ করে পূর্বের গোপনকৃত ইনডেক্স (৩৭২৯২৪) ব্যবহার করে বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি নেন তিনি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালিশুরী ডিগ্রি কলেজের একাধিক শিক্ষক জানান,  সহিদুল ইসলাম আগের ইনডেক্স গোপন করে চাকুরি নিয়েছেন। এতে তিনি তথ্য  গোপন করে অপরাধ করেছে। চাকরি নেওয়ার পর  সেই গোপনকৃত ইনডেক্স ব্যবহার করে পদোন্নতি নিয়েছেন। যা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। একই সাথে যারা সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পাওয়ার যোগ্য ছিল তাদেরও বঞ্চিত করা হয়েছে।  এছাড়াও  সহিদুল ইসলাম প্রভাষক পদে থাকাকালীন নির্ধারিত সময় পূর্ণ হওয়ার ৭মাস আগে  টাইস স্কেল সুবিধা নিয়েছেন। যা নিয়ে তার বিরুদ্ধে তদন্তও হয়। 

কলেজের একাধিক সূত্র জানায়, কালিশুরী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ নেছার উদ্দিন সিকাদার জামাল ছিলেন কালিশুরী ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। বিগত দিনে যারা ওই কলেজের গভার্নিং বডির সভাপতি ছিলেন তারাও ছিলেন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা।   তখন সহিদুল ইসলাম অধক্ষ্যের সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন।  এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সকল অনিয়ম দুর্নীতি করেন তিনি। 

এবিষয়ে জানতে চাইলে,এসব অভিযোগ মিথ্যা। যথাযথ নিয়ম মেনে যোগদান করেছি। এবং নিয়ম মেনে পদোন্নতি নিয়েছি।

এদিকে, সরকার পতনের পর অধ্যক্ষ নেছার উদ্দিন জামাল আত্মগোপনে চলে যান। যার কারণে তার এবিষয়ে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।  তার মুঠোফোনও বন্ধ রয়েছে। 

এবিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ  এ.এন.এম রেজাউল করিম বলেন, পূর্বের  ইনডেক্স গোপন করে যোগদান এবং পুরনায় পূর্বের ইনডেক্স দিয়ে পদোন্নতি নেওয়ার বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। বিষয়টি দেখব।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।