
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে জয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে তখনও পাকিস্তানের পুরো একটি ইনিংস বাকি থাকায় অনেকেই মনে করেছিলেন, পাটা পিচে মিরাজের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হওয়া বেশ কঠিন। অধিকাংশের ধারণা ছিল, রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট নিশ্চিতভাবে ড্রয়ের পথে এগোচ্ছে। কিন্তু ম্যাড়ম্যাড়ে সেই ম্যাচে পঞ্চম দিনে উত্তেজনা ছড়িয়ে দিলেন বাংলাদেশি বোলাররা।
অসাধারণভাবে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিলেন বাংলাদেশের স্পিনাররা, যদিও পিচটি মূলত পেসারদের জন্য উপযোগী ছিল। প্রথম সেশনে ৬ উইকেট তুলে নিয়ে জয়ের স্বপ্ন দেখাল বাংলাদেশ। এরপর লাঞ্চ বিরতি থেকে ফিরে পাকিস্তানকে মাত্র ১৪৬ রানে অলআউট করে দিয়েছে বাংলাদেশ। এতে পাকিস্তান বাংলাদেশের লিড টপকে মাত্র ২৯ রানের লিড পায়। ফলে, এখন নাজমুল হোসেন শান্তর দল পাকিস্তানের মাটিতে ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ের অপেক্ষায় রয়েছে, যেখানে তাদের লক্ষ্য মাত্র ৩০ রান।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশকে বিপাকে ফেলা মোহাম্মদ রিজওয়ান এদিনও বেশ ভুগিয়েছেন বাংলাদেশি বোলারদের। একাই দলকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিল, শেষ পর্যন্ত রিজওয়ান টেলেন্ডারদের নিয়ে বাংলাদেশের জয়টা রুখে দেবেন। তবে রিজওয়ানকে ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ।
২৮ রানে থাকাকালীন মেহেদী হাসান মিরাজের বল তীক্ষ্ণ বাঁক নিয়ে ভেতরে ঢুকে রিজওয়ানের পায়ে আঘাত করে। পরে আম্পায়ার্স কলের কারণে তিনি বেঁচে যান। যদিও রিজওয়ানকে ফেরানো যায়নি, কিন্তু উইকেটের অন্যপ্রান্তে আসা সালমান, আফ্রিদি ও নাসিম শাহকে ফিরিয়ে পাকিস্তানকে চাপের মধ্যে রাখেন সাকিব ও মিরাজ।
এই চাপেই কাবু হয়ে যান রিজওয়ানও। ফিফটি করার পরপরই মিরাজের বলে সুইপ করতে গিয়ে ব্যাটের কানায় লেগে স্টাম্প ভেঙে যায়, এবং তিনি ৫১ রানে আউট হন। এর সাথে সাথেই পাকিস্তানের শেষ স্বীকৃত ব্যাটারের উইকেটের পতন ঘটে এবং প্রতিরোধের স্বপ্ন ভেঙে যায়। প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটে ৪৪৮ রান করে ইনিংস ঘোষণা করা পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংস মাত্র ১৪৬ রানে থামে। বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য এখন মাত্র ৩০ রানের।